রংপুর জেলার বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন (বিএডিসি) এগ্রোসার্ভিস সেন্টারে সম্প্রতি দিনব্যাপী ফলদ, বনজ ও মসলা উৎপাদন ও পরিচর্যা শীর্ষক এক কৃষক প্রশিক্ষণের আয়োজন করা হয়। উক্ত অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রের উপপরিচালক শামীম আরা বেগম এবং সভাপতিত্ব করেন উপসহকারী পরিচালক খুরশীদ আলম। প্রশিক্ষক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর রংপুর অঞ্চলের উদ্যানতত্ব বিশেষজ্ঞ খন্দকার মো. মেসবাহুল ইসলাম। অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি বলেন আমাদের বাড়ির আশে পাশে অনেক পতিত জমি পড়ে থাকে তা ফেলে না রেখে ফল গাছ রোপণ করলে অর্থ পুষ্টি দুভাবেই লাভবান হব। ফল একটি পুষ্টিকর খাবার তাই এটি আমাদের প্রতিদিন খেতে হবে। ফল আমাদের শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। প্রশিক্ষক খন্দকার মো. মেসবাহুল ইসলাম বলেন যে, প্রশিক্ষণের কোন বিকল্প নেই। আমাদের দেশের অধিকাংশ লোক কৃষক। তাই কৃষক সমাজকে প্রশিক্ষিত করতে না পারলে আমাদের দেশের উন্নতি সম্ভব নয়। মোট আয়তনের শতকারা ২৫ ভাগ বনভূমি থাকা প্রয়োজন কিন্তু সে তুলনায় আছে আমাদের অনেক কম। তাই রাস্তার পাশে স্কুল কলেজের পতিত জায়গা ফেলে না রেখে সেখানে গাছ লাগিয়ে বনভূমি করা দরকার। আমাদের দেশে প্রতি বছর প্রচুর পরিমাণে মসলা আমদানি করতে হয়। আমরা যদি আর একটু সচেতন হয়ে বাড়ির আশে পাশে মসলার গাছ রোপণ করি তাহলে আমাদের প্রচুর পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয় হয়। সভাপতি বলেন কৃষি প্রধান দেশে কৃষির উন্নত করতে হলে আধুনিক প্রযুক্তির কোন বিকল্প নেই। তাই কৃষির উন্নয়নে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। কৃষক প্রতিনিধি বৈদ্যনাথ বম্মন বলেন এ প্রশিক্ষণ নিয়ে কৃষক কৃষাণী খুবই উপকৃত হবে। কৃষিকে আরো সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করন।